হাওজা নিউজ এজেন্সি: বৈঠকে কালিবাফ ও কুরতুলমুশ ইরান ও তুরস্কের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সম্পর্ক আরও গভীর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কালিবাফ বলেন, “অঞ্চলীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বর্তমান অস্থিরতার মূল কারণ মার্কিন হস্তক্ষেপ। ইরান ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক ও অঞ্চলিক সম্পর্ক এই পরিস্থিতি উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
তিনি তুরস্কের সরকার, রাজনৈতিক দল, জনগণ এবং সংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যারা ইরান-বিরোধী সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় ইরানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা এক যুদ্ধে লিপ্ত ছিলাম—যুক্তরাষ্ট্র, ইহুদি রাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে। ইরানের জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনী সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ করেছে। এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েল একটি কঠোর সামরিক জবাব পেয়েছে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “সিয়োনিস্টরা এখনো তাদের সম্প্রসারণবাদী নীতি চালিয়ে যাচ্ছে, যা গোটা অঞ্চলের জন্য হুমকি।”
তুরস্কের স্পিকার কুরতুলমুশ ইসরায়েলি আগ্রাসনে ইরানে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “সংঘাতের শুরুতেই তুর্কি পার্লামেন্ট সর্বদলীয় সমর্থনে একটি বিবৃতি দিয়ে ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “ইরান-তুরস্ক সম্পর্ক ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমরা দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্য ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছি।”
তিনি উল্লেখ করেন, “সম্প্রতি ইরানি সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের তুর্কি সফরকালে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সহায়ক হবে।”
আপনার কমেন্ট